গোপন চ্যাট ফাঁস হওয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনের
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন ঝড় উঠেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গোপন চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় হোয়াইট হাউসে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন ‘দ্য আটলান্টিক’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গ। তিনি দাবি করেছেন, ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি একটি সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে তাকে ভুল করে যুক্ত করা হয়েছিল। এই চ্যাটে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজসহ বড় বড় কর্মকর্তারা ছিলেন। ফাঁস হওয়া তথ্যে হামলার সময়, লক্ষ্যবস্তু ও কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রকাশ পেয়েছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২৫ মার্চ ২০২৫-এ, যখন গোল্ডবার্গ তার প্রতিবেদনে এই চ্যাটের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হামলার আগে তিনি এই গ্রুপে যুক্ত হন এবং সব দেখে ফেলেন। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। হোয়াইট হাউস এটিকে ‘ভুল’ বলে স্বীকার করলেও, ট্রাম্প বলেছেন, “আমি কিছুই জানতাম না। আটলান্টিক একটা ব্যর্থ ম্যাগাজিন।” তবে তাঁর মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট এটিকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে গোল্ডবার্গের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাটরা সরব হয়েছেন। তারা বলছেন, “এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।” সিনেটে শুনানি চলছে, এমনকি রিপাবলিকান সিনেটররাও তদন্তের দাবি তুলেছেন। একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “গোপন তথ্য এভাবে ফাঁস হওয়া অকল্পনীয়।” চ্যাটে ভ্যান্স হামলার সমালোচনা করলেও শেষে সমর্থন দিয়েছিলেন, যা বিতর্ক আরও জটিল করেছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন নাগরিক বলেন, “এটা লজ্জার। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?” আরেকজন বলেন, “সাংবাদিকেরও দায়িত্ব আছে গোপনীয়তা রক্ষার।” গোল্ডবার্গ অবশ্য বলছেন, “সত্য প্রকাশ করাই আমার কাজ।”