বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সুশাসন, সামাজিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২০২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এই সহায়তা ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতির অংশ, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নীম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম উচ্চপর্যায়ের সফর। সফরের সময় তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির কারণে চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে সমর্থন প্রদানের আশ্বাস দেন।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির কারণে চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে তারা মনোনিবেশ করেছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থন পেয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের ৪,৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, জাতীয় ওয়েব পোর্টাল তৈরি, টেলিযোগাযোগ খাতে উন্নয়ন এবং ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে। এছাড়া, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে, যা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।