দেশে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৪ লাখ গবাদিপশু, থাকবে ২০ লাখের বেশি উদ্বৃত্ত
আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশু। এর মধ্যে গরু-মহিষ রয়েছে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি, ছাগল-ভেড়া ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি এবং অন্যান্য প্রজাতির ৫ হাজার ৫১২টি। রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোরবানি দেয়ার পরও ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা মুসলিমদের জন্য একটি বড় ধর্মীয় উৎসব, যার অন্যতম অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। এই উপলক্ষে কোরবানিযোগ্য পশুর সরবরাহ ও পরিবহণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশেই উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে, তাই পশু আমদানির প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি। বাজার স্থিতিশীল রাখতে খামারিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সরকার পাশে আছে।
এ সময় তিনি বলেন, বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা যেন কেউ না করে, সেজন্য সরকার সতর্ক রয়েছে। চাঁদাবাজি ঠেকাতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হয়েছে এবং যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত কোরবানি নিশ্চিত করতে পশুর স্বাস্থ্য, পরিচর্যা ও পরিবহণে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার রোধে দেশে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৬৫৬ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ, ৬ হাজার ৬০০টি উঠান বৈঠক, ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭৮টি লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ৫৩ হাজার ২৬৩টি খামার পরিদর্শন করে খামারিদের হরমোন ও স্টেরয়েডের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা চলমান থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
গবাদিপশু পরিবহণ নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর একসাথে কাজ করবে। ছিনতাই ও যানজট রোধে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। কোরবানির পশুবাহী ট্রাক যাতে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি না করে এবং নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে চালু থাকবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হটলাইন (১৬৩৫৮)।