চাঁদাবাজির মামলা নেওয়ায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা
২০২৫ সালের ১৮ মার্চ জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায় একটি চাঁদাবাজির মামলাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মাছ চাষের জন্য জমি লিজ নিয়ে সেখানে বাগদা ও অন্যান্য মাছ চাষ করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিএনপি নেতা মেহেদী আশিক পার্থ ও তার সহযোগীরা তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তোফাজ্জলকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তোফাজ্জলকে থানায় নেওয়ার পর মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোক থানায় হামলা চালায়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয় এবং থানা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), পুলিশ কনস্টেবল আবু সাঈদ (৩০) ও আরিফুর রহমান (২৮) রয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কালাই থানা পুলিশের সদস্যরা থানায় অবস্থান নেন। পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির একটি উদাহরণ। চাঁদাবাজি ও থানায় হামলার মতো অপরাধ দমনে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এতে করে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে।