সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫| সন্ধ্যা ৬:২০

মূর্তি না ভেঙে শক্তির বিপরীতে শক্তি গড়ার আহ্বান মাহফুজ আলমের

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫ ৪:০১ অপরাহ্ণ
মূর্তি না ভেঙে শক্তির বিপরীতে শক্তি গড়ার আহ্বান মাহফুজ আলমের

মূর্তি না ভেঙে শক্তির বিপরীতে শক্তি গড়ার আহ্বান মাহফুজ আলমের

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, মূর্তি ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে আমাদের উচিত শত্রুর শক্তির বিপরীতে পাল্টা চিন্তা, শক্তি ও হেজেমনি গড়ে তোলা। তিনি বলেছেন, “ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে আমাদের গড়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত,” এবং গড়ার এই প্রকল্পে আমাদের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলার শক্তি গড়ে তুলতে হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে একটি পোস্টে তিনি বলেন, “আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলা করছি, এবং আমাদের উচিত আমাদের শত্রুদের শক্তির বিপরীতে চিন্তা, শক্তি এবং হেজেমনি তৈরি করা।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সংকটের উত্তরণে ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে গড়ার প্রকল্পগুলো দ্রুত শুরু করা উচিত।

মাহফুজ আলম বলেন, “লীগ বা হাসিনা আসলে কিছুই না, বরং আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের এক্সটেনশন।” তিনি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলার জন্য তিনটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন—বাস্তবধর্মী রাষ্ট্রকল্পনা, দেশে এবং ডায়াসপোরায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা।

তিনি আরও বলেন, “ভাঙার পর গড়ার সুযোগ এসেছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ভাঙা প্রকল্প আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভাল সংকেত নয়। গড়ার প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হওয়া উচিত, আর সেজন্য আমাদের সক্রিয় হতে হবে।”

মাহফুজ আলম আরও জানান, “সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের কাজ চলমান রয়েছে, যা এ মাসে আরও গতি পাবে।”

তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ শুধুমাত্র ভাঙা নয়, বরং বিকল্প গড়ারও লড়াই। আমাদের লক্ষ্য এখন গড়ার দিকে মনোনিবেশ করা, আর সে জন্য আমাদের সৃজনশীল শক্তি কাজে লাগানো প্রয়োজন।”

তিনি লেখেন, “আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সৃজনশীল শক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আগামী দশকব্যাপী গণতান্ত্রিক ও আধিপত্যবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে সফল হতে হবে।”

এছাড়া, তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যৎপানে তাকিয়ে ইতিহাস আমাদের সুযোগ দিয়েছে, এখন আমাদের জিততে হবে এবং জয়ের উপায় একটাই— রাষ্ট্রকল্প, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা।”

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ