ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেই গাজায় ব্যাপক আকারে নতুন হামলা: হোয়াইট হাউস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক বিমান হামলা চালিয়েছে, জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় সর্বশেষ হামলা শুরু করার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি ও ইরানসহ যারা ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায়, তাদের মূল্য দিতে হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ।
গাজায় ইসরায়েলের এই হামলার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিছু দেশ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে অনেকেই বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
হামাস এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই হামলায় সমর্থন জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শের বিষয়টি হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে। তবে, এই সমর্থনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
গাজা উপত্যকায় বর্তমানে মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। হামলার কারণে বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং জরুরি সেবার অভাব দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা এবং এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মধ্যপ্রাচ্যের জটিল পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই সংকটের সমাধান কঠিন হবে।