জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শক্তির নতুন প্ল্যাটফরম আসছে, ঘোষণা জুনায়েদের
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আলী আহসান জুনায়েদ, যা এপ্রিল মাসে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।
আলী আহসান জুনায়েদ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, পিলখানা, শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মের প্রধান লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, “এ পরিস্থিতিতে, আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণ-অভ্যুত্থানের দাবিগুলো প্রকৃতই বাস্তবায়ন করতে চাই।”
নতুন এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে আগ্রহীদের জন্য একটি গুগল ফর্মের লিংক শেয়ার করেছেন জুনায়েদ। এই ফর্মের মাধ্যমে তিনি আগ্রহীদের ব্যক্তিগত তথ্য, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং প্ল্যাটফর্মে তাদের সম্ভাব্য ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এই উদ্যোগটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব দেখা যায়। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হয়, যার আহ্বায়ক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
আলী আহসান জুনায়েদের উদ্যোগে গঠিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।