ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ড. ইউনুসকে সোচ্চার হওয়ার দাবি
ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এ প্রেক্ষিতে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের এই বিষয় নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনা নতুন নয়। ১৯৮৭ সালের হাশিমপুরা গণহত্যা, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা এবং সাম্প্রতিক দিল্লি সহিংসতা এ ধরনের ঘটনার উদাহরণ। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, এই সহিংসতাগুলো প্রায়ই প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন পেয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে।
সম্প্রতি, গুরগাঁওয়ের ভোন্দসি এলাকায় এক মুসলিম পরিবারের উপর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা বিশ্বব্যাপী সমালোচনার জন্ম দেয়। জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ বিকালে এই হামলা ঘটে, যেখানে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস একজন বিশ্বখ্যাত সমাজসেবক ও অর্থনীতিবিদ। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি শক্তিশালী কণ্ঠ দিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ড. ইউনুস পূর্বেও সোচ্চার হয়েছেন। ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার মত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের কণ্ঠস্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিমধ্যে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে। ড. ইউনুসের মতো ব্যক্তিত্বদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সোচ্চার হওয়া সময়ের দাবি। তাদের কণ্ঠস্বর আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়গুলোকে তুলে ধরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।