শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| ভোর ৫:১৫

ভারতে হোলি উৎসবের আগে ত্রিপলে ঢেকে দেয়া হচ্ছে মসজিদ!

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ১৩, ২০২৫ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
ভারতে হোলি উৎসবের আগে ত্রিপলে ঢেকে দেয়া হচ্ছে মসজিদ!

ভারতে হোলি উৎসবের আগে ত্রিপলে ঢেকে দেয়া হচ্ছে মসজিদ!

ভারতে হোলি উৎসবের প্রাক্কালে উত্তরপ্রদেশের সাম্ভাল ও বরেলি জেলায় মসজিদগুলো ত্রিপল ও প্লাস্টিক শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, হোলির সময় শোভাযাত্রার রঙ থেকে মসজিদগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সাম্ভাল: ১৪ মার্চ হোলি উপলক্ষে শোভাযাত্রার পথে অবস্থিত ১০টি মসজিদ, যার মধ্যে ঐতিহাসিক জামা মসজিদও রয়েছে, সেগুলোকে প্লাস্টিক শিট ও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ বছর হোলির দিন শুক্রবারের নামাজ এবং পবিত্র রমজান মাস একইসঙ্গে পড়েছে, যা প্রশাসনকে এই পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

বরেলি: রাম বারাত শোভাযাত্রার রুটে অবস্থিত সমস্ত মসজিদকে ত্রিপল ও প্লাস্টিক শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে মসজিদে রং লেগে কোনো সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, এই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রভাবিত হতে পারে।

প্রশাসন হোলির সময় শান্তি বজায় রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাম্ভাল জেলায় ১,০১৫ জনকে আটক করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, হোলির শোভাযাত্রার পথে থাকা ১০টি ধর্মীয় স্থানের ওপর ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) ডি এন সিংহ জানিয়েছেন, উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিরোধী দল ও মুসলিম সংগঠনগুলো বলছে, এটি সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। তারা অভিযোগ করছে, হোলির দিনে মুসলিমদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা এবং বিজেপি নেতারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছেন।

গত নভেম্বর থেকে সাম্ভালে উত্তেজনা চলছে, যখন আদালতের নির্দেশে জামা মসজিদ নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত। এই সমীক্ষা ঘিরে বিক্ষোভ ব্যাপক হিংসার রূপ নেয়, যাতে পাঁচজন নিহত হন এবং ২০ জনের বেশি পুলিশ কর্মী আহত হন।

ভারতে হোলি উৎসবের সময় মসজিদগুলোকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রশাসনিক পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা রয়েছে। উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি