গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন – হাসিনার শাসনামল ছিল স্বৈরতন্ত্র, সহিংসতা ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ
সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলকে স্বৈরতান্ত্রিক, সহিংসতা ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন, সহিংসতা ও দুর্নীতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিশেষ করে, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যা জাতিসংঘের মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দুর্নীতি দমন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, পূর্ববর্তী সরকারের সময় দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা দেশের অর্থনীতি ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিরোধী দল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর দমন-পীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার শাসনামলকে স্বৈরতন্ত্র, সহিংসতা ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এই নেতিবাচক প্রভাবগুলো মোকাবিলা করে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।