ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেপ্তার
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ম্যানিলার বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন। হংকং থেকে ফেরার পর তাকে আটক করা হয়।
দুতার্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই অভিযানে হাজার হাজার ফিলিপিনো নিহত হয়েছেন, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) দুতার্তের গ্রেপ্তারকে ফিলিপাইনে জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা মনে করে, এর মাধ্যমে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হবে এবং এটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
গ্রেপ্তারের পর দুতার্তে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে আত্মবিশ্বাসী। তিনি আরও বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল।
ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুতার্তের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং তার মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে। আইসিসির তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে শিগগিরই।
দুতার্তের গ্রেপ্তার ফিলিপাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু মানুষ এটিকে ন্যায়বিচারের বিজয় হিসেবে দেখছেন, আবার অন্যরা মনে করেন এটি দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ। তবে অধিকাংশ নাগরিক আশা করছেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত হবে।
রদ্রিগো দুতার্তের গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই ঘটনা দেশের আইন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।