সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫| সন্ধ্যা ৬:১০

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে বন্যা, ঘরছাড়া হাজারো মানুষ

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ৫, ২০২৫ ৭:১২ অপরাহ্ণ
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে বন্যা, ঘরছাড়া হাজারো মানুষ

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে বন্যা, ঘরছাড়া হাজারো মানুষ

প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা এবং আশপাশের এলাকাগুলো ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের পর, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ মিটার বর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় সড়ক, বাড়ি, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র পানিতে ডুবে গেছে, এবং হাজার হাজার মানুষ বাধ্য হয়ে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, টানা বর্ষণের ফলে জাকার্তার একাধিক সড়ক এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, হাসপাতালসহ জরুরি পরিষেবা কেন্দ্রগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে দেখা যায়, জাকার্তার পূর্বাঞ্চলীয় বেকাসি শহরের একটি হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড পানির নিচে চলে গেছে, যার ফলে রোগীদের অন্য একটি ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে, তবে সেখানে বিদ্যুৎ নেই।

এ পরিস্থিতিতে, জাকার্তার গভর্নর প্রামোনো আনুং সিটি এলাকাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিপদ সংকেত জারি করেছেন। তিনি পানির স্তর কমানোর জন্য পাম্প মেশিন ব্যবহার করে পানি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে, দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা নৌকা ব্যবহার করে পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকা থেকে মানুষদের উদ্ধার করছেন।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দপ্তর আগামি ১১ মার্চ পর্যন্ত থেমে থেমে বা লাগাতার ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা আরও সংকট সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে, স্কুল, মসজিদ ও চার্চগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে বিপর্যস্ত জনগণকে খাবার, কাপড় এবং ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। ৩ কোটি জনসংখ্যার রাজধানী জাকার্তায় বন্যা একটি বিরল ঘটনা নয়; এর আগেও ২০২০ সালে বড় আকারের বন্যা হয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্রী সুয়াতনি রয়টার্সকে বলেন, “বন্যার পানি বাড়িতে ঢুকে যাওয়ায় আমরা বাড়িঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছি। আমি প্রার্থনা করছি যেন দ্রুত পানি নেমে যায়।”

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ