সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫| রাত ৮:৪১

“আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে”: আখতার

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
"আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে": আখতার

“আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে”: আখতার

চব্বিশের গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি সরাসরি বলেছেন, “যারা গণহত্যা করেছে, সেই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার বিন্দুমাত্র অধিকার রাখে না।”

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক জানাজায় অংশ নিয়ে আখতার হোসেন এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আর কোনো নয়-ছয় নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং দলটির রাজনীতি বাংলাদেশে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে রাজপথে তাদের উপস্থিতি জানিয়ে দেবে। কিন্তু কোনোভাবেই আমরা গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরতে দেব না।”

গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ঠেকাতে গিয়ে আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মো. কাশেম বুধবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শহীদ মিনারে তার জানাজা শেষে কফিন নিয়ে একটি মিছিল হয়, যেখানে আখতারসহ আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।

আখতার বলেন, “আমাদের ভাই কাশেমকে হত্যার পেছনে যারা সক্রিয় ছিল, হুমকি দিয়েছে, পরিকল্পনা করেছে—তারা সকলেই পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ। শহীদের লাশের শপথ নিয়ে বলছি, আওয়ামী লীগ যদি আর কোনো অপকর্ম ঘটানোর চেষ্টা করে, আমরা শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব।”

তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং গণহত্যার জন্য জাতিসংঘের রিপোর্টেও দলটির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। “ভারতে থাকুক বা যেখানেই থাকুক, শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে,” বলেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও একই সুরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, “কালচারাল অ্যাক্টিভিজম, শ্যাডো অ্যাক্টিভিজমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এখনো রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এখন তারা সেটার বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আমরা সেটা হতে দেব না।”

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আর কী প্রমাণ লাগবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে?”

আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, ছয় মাস পরেও বিপ্লবীদের জীবন দিতে হচ্ছে, অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করার শপথ নেন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ