শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
শ্রম আইন সংস্কারের মাধ্যমে দেশের শ্রমিকদের অধিকার উন্নত করার জন্য আইএলওর মানদণ্ড অনুসরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শিগগিরই প্রক্রিয়াটির ফলাফল দেখতে পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি বৈঠকে, তিনি শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এবং জানান যে, সরকারের উদ্যোগে ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, এবং খুব শিগগিরই এর পরিবর্তন দেখতে পাবেন।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে শ্রম আইনে আইএলওর মানদণ্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
নিরাপন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠকে, সিমোন সুলতানা এবং তপন চৌধুরীসহ শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সিমোন সুলতানা, পোশাক শিল্পে সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “নিরাপন তাদের স্থানীয় অংশীদার ব্র্যাকসহ কারখানাগুলোকে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সক্ষম করতে উদ্ভাবনী সরঞ্জাম সরবরাহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।”
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে শ্রমিক ইউনিয়ন ও কারখানা মালিকদের সঙ্গে ১৮ দফা চুক্তি করেছে, যা শিল্পে স্থিতিশীলতা এনেছে এবং পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। বৈঠকে সকলেই দেশের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার উদ্যোগে দেশের শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।