মঙ্গলবার, ১০ই জুন, ২০২৫| রাত ২:০৩

যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ৭:১২ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস বিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার ২৬০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।

আইসিইর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে বন্দিশালায় রাখা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিছু অভিবাসীকে কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সংস্থাটি এই তথ্য জানিয়েছে।

আইসিইর অভিযানের মূল কেন্দ্র ছিল নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহর। সংস্থাটির দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক সংক্রান্ত অপরাধ ও মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচারণার সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরে আসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করবেন। গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, তিনি একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামের আদেশ, যা আইসিইর অধীনে কঠোর অভিবাসন অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নথিবিহীন অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যাচ্ছেন কিংবা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি নথিবিহীন অভিবাসী বসবাস করছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য, অন্তত ১ লাখ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই নীতি কেবল অভিবাসীদের জীবনকেই অনিশ্চয়তার মুখে ফেলবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে কৃষি, নির্মাণ ও পরিষেবা খাতে কর্মরত অভিবাসীদের অনুপস্থিতি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থানের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই অভিযানের ফলে অনেক নিরপরাধ অভিবাসীও শিকার হচ্ছেন এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম টেস্টে দাপুটে জয়, সিরিজ ১-১ সমতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারার পর স্বাগতিক বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টে দাপুটে জয় পেয়েছে। সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে পরাজয়ের পর সিরিজ বাঁচানোর একমাত্র সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে, এবং তারা তা কাজে লাগিয়েছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে। তবে এই জয়ে খুব বেশি খুশি হতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত বলেন, ‘আমি আসলে খুব বেশি খুশি না। দুই ম্যাচের কথা যদি বলেন, এর থেকে ভালো ক্রিকেট খেলা উচিৎ ছিল। সিরিজটা জেতা উচিৎ ছিল আমাদের। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা কামব্যাক করেছি।’ তবে, শান্ত নিজের দলের কয়েকটি উন্নতি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাইজুল ভাই প্রথম ম্যাচে ভালো বোলিংয়ের পর এই ম্যাচে যেভাবে কামব্যাক করেছেন, তা ভালো লাগছে। ওপেনিং জুটির ভালো পারফরম্যান্স, সাদমানের ১০০, এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটিং – এসবই ভালো লেগেছে। সাকিবের ব্যাটিংটাও দারুণ ছিল।’ স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের প্রশংসাও করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘সোহেল স্যার যেভাবে সবাইকে সাহায্য করছেন, সেটা দারুণ। পজিটিভ ভাইব ছিল এবং দারুণ খেলেছে সবাই।’ চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়ের ২০ উইকেটের ১৮টিই নিয়েছেন বাংলাদেশ স্পিনাররা। শান্ত জানিয়েছেন, তিনি স্পিনারদের নিয়ে চিন্তিত নন, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৪৪৪ রান করেছে, আর জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে ২১৭ রানের লিড পেয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে, জিম্বাবুয়ে মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে যায়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয় পায় এবং সিরিজ ১-১ সমতায় নিয়ে আসে।

বাংলাদেশ-আমিরাত বাণিজ্য ও শ্রম খাতে সহযোগিতা বাড়াতে বৈঠক

অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন আমরা ক্ষমতায় চলে গেছি, এটা ঠিক নয় – তারেক রহমান

আজকের মুদ্রার হার (৯ জুন, ২০২৫)

আজকের মুদ্রার হার (১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)

গণহত্যার অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ: চিফ প্রসিকিউটর

গণহত্যার অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ: চিফ প্রসিকিউটর

ট্রাম্পের ঘোষিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের খোঁজ পায়নি এনজিও ব্যুরো

ট্রাম্পের ঘোষিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের খোঁজ পায়নি এনজিও ব্যুরো

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের নাটকীয় জয়: রিতু মণির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে হারালো টাইগ্রেসরা

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের নাটকীয় জয়: রিতু মণির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে হারালো টাইগ্রেসরা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা অব্যাহত

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা অব্যাহত

বাংলাদেশি নারীদের চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে চীনা দূতাবাসের সতর্কতা, পেছনে ভয়াবহ চিত্র

বাংলাদেশি নারীদের চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে চীনা দূতাবাসের সতর্কতা, পেছনে ভয়াবহ চিত্র

রুয়েট শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ, প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার