বাংলাদেশেও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি সাইফের ওপর হামলাকারী
ভারতে জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মো. রুহুল আমিন ফকির একসময় খুলনার একটি মিলে চাকরি করতেন। শরিফুল এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত থাকার কারণে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন এবং পরে ভারতে পালিয়ে যান।
নলছিটি থানা সূত্রে জানা গেছে, শেহজাদ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। ২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লারহাট স্টিল ব্রিজের কাছে মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়। হত্যার পর থেকে তিনি এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন এবং পরে ভারতে পালিয়ে যান।
তার ছোট ভাই মো. সালমান ফকির জানিয়েছেন, শেহজাদ পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কোনো যোগাযোগ করেননি। ভারতে পালানোর পর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। ছোটবেলায় লেখাপড়ায় মনোযোগ না দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। চুরি, ছিনতাই, হত্যাসহ একাধিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, শেহজাদের আচরণ একরোখা ধরনের ছিল এবং কোনো কাজ করার আগে তার ফলাফল নিয়ে ভাবতেন না। পারিবারিক জীবনে অস্থিরতা ছিল, তার একাধিক বিয়ের খবরও শোনা যায়। তবে কোনো সংসারই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির জানিয়েছেন, তারা তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না এবং শেহজাদ কখন ভারতে গেছেন সেটাও তারা জানেন না।
নলছিটি থানার ওসি মো. আব্দুস ছালাম বলেন, শেহজাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য তারা পাননি।
শেহজাদের মতো অপরাধীদের জন্য এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন বিপজ্জনক হিসেবে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেননি। সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় তার নাম যুক্ত হওয়ায় বিষয়টি দুই দেশের প্রশাসনের নজরে এসেছে।