ড. ইউনূস-তারেক বৈঠক: অনলাইনে ব্যাপক আলোচনায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখেছে এসপিএফ গবেষণা
গত ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচিত বৈঠকটি নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বৈঠকটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মজুড়ে যে আলোচনা তৈরি হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে স্ট্রাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরাম (এসপিএফ) একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, নেটিজেনদের ৯২ শতাংশ এই বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। মাত্র ৪.১ শতাংশ নেতিবাচক এবং ৩.৯ শতাংশ নিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসপিএফ জানায়, বৈঠকটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও ইউটিউবভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে মোট ১৭৭টি সংবাদ প্রতিবেদন এবং ৫০৬টি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব কনটেন্ট ডেটা মাইনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং’ ও ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস’-এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছানো হয়েছে।
এসপিএফ-এর গণসংযোগ পরিচালক মাহবুব নাহিদ বলেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে সমাজে একটি ঐতিহাসিক বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং তারেক রহমানের রাজনৈতিক অবস্থান একসঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশাবাদের জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের বৈঠক গণতান্ত্রিক সংলাপের পরিসরকে প্রসারিত করে, যা ইতিবাচক সমাজ গঠনে সহায়ক।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আসিফ হোসেন রচি জানান, গবেষণাটি প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে কোনো মানবিক পক্ষপাতের সুযোগ নেই। এটি গণিত ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক এক নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ। তার ভাষায়, “এই বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনা ও সমঝোতার গুরুত্বকে স্পষ্ট করেছে।”
গবেষণায় বিশ্লেষিত গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে যুগান্তর, নিউজ২৪, এনটিভি, সময়, একাত্তর, চ্যানেল২৪, দীপ্ত, ইনডিপেনডেন্ট, যমুনা টিভি, ঢাকা পোস্ট ও দেশ চিন্তা। এসব সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ভিডিওতে মানুষের আগ্রহ এবং মতামতের বহর থেকে বোঝা যায়, বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার খোরাক হয়ে উঠেছে।