ইসরায়েলের হামলায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য, পাল্টা আঘাতে আরও তীব্র হুমকি ইরানের
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে ইসরায়েল ও ইরানের সামরিক সংঘাতে। ইসরায়েল রোববার দাবি করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি হামলা চালানো অব্যাহত রাখে, তাহলে পাল্টা আক্রমণ হবে আরও জোরালো ও বিস্তৃত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা যায়, ইসরায়েল তাদের হামলায় তেহরানে অবস্থিত ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর, ডিফেন্স ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সংস্থার অফিস এবং বেশ কয়েকটি গোপন পারমাণবিক সংশ্লিষ্ট স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। আইডিএফ বলছে, এসব জায়গায় ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল কিংবা গোপনে সংবেদনশীল পারমাণবিক তথ্য সংরক্ষণ করছিল।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান পরিচালনার জ্বালানি উৎপাদন ও বিদ্যুৎ সরবরাহে যুক্ত স্থাপনাগুলোতে পাল্টা আঘাত হেনেছে। সেই সঙ্গে ইরান দাবি করেছে, আকাশসীমায় অন্তর্ভুক্ত এলাকায় তারা তিনটি ক্রুজ মিসাইল, ১০টি ড্রোন এবং একাধিক ক্ষুদ্র হামলাকারী ড্রোন শনাক্ত করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে শনিবার মধ্যরাত এবং রোববার ভোরে ইরান ইসরায়েলে দুটি পাল্টা হামলা চালায়, যেখানে দ্রুতগতির মিসাইল ব্যবহার করা হয়। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এতে উত্তর ইসরায়েলের একটি আরব-ইসরায়েলি অধ্যুষিত শহরে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন, যাদের পরিচয় খাতিব পরিবার বলে জানা গেছে। অপরদিকে মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়ামে হামলায় ৬০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে, বাত ইয়ামের হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চলজুড়েই পড়বে।