রবিবার, ১৫ই জুন, ২০২৫| রাত ১:০৪

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিবেদক
staffreporter
জুন ১৪, ২০২৫ ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

সকালের নাস্তায় ওটস অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না, তবে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনস্বীকার্য। এটি শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং পেট, ত্বক ও শরীরের সার্বিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফিটনেস সচেতন মানুষদের খাদ্যতালিকায় ওটস প্রায়শই একেবারে শুরুর দিকেই থাকে। প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে, তা নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রথমত, ওটস হজমশক্তি বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ২০২০ সালে অক্সফোর্ড একাডেমির প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রকে আলতো করে পরিষ্কার করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেটের গ্যাস বা ফাঁপাভাব দূর করতে সহায়ক। ওটস পানি শোষণ করে জেলের মতো গঠন তৈরি করে, যা মল সহজে সরাতে সাহায্য করে।

দ্বিতীয়ত, এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ২০২১ সালে ‘ফুডস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, এতে থাকা স্লো-রিলিজ কার্বোহাইড্রেট হঠাৎ ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। ফল, বাদাম বা বীজের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।

তৃতীয়ত, ওটস পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরি কম, কিন্তু ফাইবার বেশি। ওটসের বিটা-গ্লুকান উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোমরের চারপাশে চর্বি জমা কমায়।

চতুর্থত, ওটস খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। এটি হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে বলে ত্বকে লালচেভাব ও শুষ্কতা কমে। ওটস শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে।

পঞ্চমত, এটি শরীরের শক্তির স্তর ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সহায়তা করে। ওটস ধীরে ধীরে শক্তি নিঃসরণ করে বলে রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ বাড়ে না, ফলে সারাদিন মনোযোগ ভালো থাকে এবং ক্লান্তি কম অনুভূত হয়।

সব মিলিয়ে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক বাটি ওটস যুক্ত করা শরীরের জন্য একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হতে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি