শুক্রবার, ৬ই জুন, ২০২৫| রাত ১০:৪৫

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জেলেনস্কির

প্রতিবেদক
staffreporter
জুন ৫, ২০২৫ ২:০৭ অপরাহ্ণ
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জেলেনস্কির

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জেলেনস্কির

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি চান, সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকের আগে উভয় পক্ষ যেন কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। বুধবার (৪ জুন) রাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইউক্রইনফর্ম এই তথ্য জানায়।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার প্রতিনিধিরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়; এটি দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের বিষয়। তাই তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য সরাসরি পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন এবং বলেন, ইউক্রেন এই বৈঠকের জন্য ইস্তাম্বুল, সুইজারল্যান্ড কিংবা ভ্যাটিকানে যেকোনো দিন প্রস্তুত।

জেলেনস্কির ভাষায়, “আমরা বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও এই প্রস্তাবে সমর্থন দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে সমর্থন দিলে তা আরও ফলপ্রসূ হবে।” তিনি আরও জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আগেই জানিয়ে রেখেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চারপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ নিতে আগ্রহী।

তবে জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, বৈঠক ব্যর্থ হলে রাশিয়া একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করতে পারে। তবে যদি আলোচনায় অগ্রগতি হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ ও মধ্যস্থতায় থাকে, তাহলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, “আমি এমনকি যুদ্ধবিরতি ছাড়াও পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কিন্তু আলোচনার পর যদি রাশিয়া যুদ্ধ অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার।”

এর আগে সোমবার ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা হয়। প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হয় ১৬ মে একই শহরে। দ্বিতীয় দফায় উভয়পক্ষ বিশেষ করে অল্প বয়সী ও গুরুতর আহত বন্দিদের অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়। পাশাপাশি, প্রতিটি দেশের ৬ হাজার করে মৃত সেনার মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও সমঝোতা হয়।

তবে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, রাশিয়ার দেওয়া খসড়া সমঝোতা আসলে এক ধরনের আল্টিমেটাম। তিনি বলেন, “প্রস্তাবের ভাষা ও মেজাজ এমন ছিল, যেন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পরস্পরের প্রতি সম্মান ও সমঝোতার ভিত্তিতেই আলোচনা হতে হবে, আল্টিমেটামের ভিত্তিতে নয়।”

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি