বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ২০২৫| রাত ২:৫২

শাপলা চত্বরে হেফাজত সমাবেশে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ অধিকার-এর

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ৫, ২০২৫ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
শাপলা চত্বরে হেফাজত সমাবেশে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ অধিকার-এর

শাপলা চত্বরে হেফাজত সমাবেশে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ অধিকার-এর

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই দাবি জানায় এবং ওই সময়কার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মানবাধিকার সংগঠন বা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নীরবতার কথাও তুলে ধরে।

বিবৃতিতে অধিকার দাবি করে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী বিচারবহির্ভূতভাবে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৬১ জনকে হত্যা করে। এই বিষয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে অধিকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়। তবে তালিকাটি সরকারকে না দিয়ে তারা একটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানায়। সরকার সে কমিশন গঠন না করে বরং অধিকার-এর ওপর দমন-পীড়ন চালায়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট অধিকার-এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে ডিবি সদস্যরা তার বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং রাতভর গুম করে পরদিন আদালতে হাজির করে। পরে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অধিকার কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন সংবেদনশীল ডক্যুমেন্ট, কম্পিউটার ও ডেটা জব্দ করা হয়। এরপর সংগঠনটির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করে হয়রানি চালানো হয়।

অধিকারের দাবি, আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে মিথ্যা মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অভিযুক্ত করে যথাক্রমে ৬২ ও ২৫ দিন কারাগারে আটক রাখা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পরে, ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই দুই বছরের সাজা দেয়। অধিকার অভিযোগ করে, এভাবে হাসিনা সরকার মানবাধিকার সংগঠনের কণ্ঠরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকারি দপ্তর ও সরকারপন্থী গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ২০২৫ সালের ১২ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

সংগঠনটি বিবৃতিতে তিনটি সুপারিশ করে:
১. শাপলা চত্বরে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা।
২. নিহত ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা।
৩. এই ঘটনায় দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ