বিশ্বজুড়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের শতাধিক অফিস বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শতাধিক দপ্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের“আমেরিকা প্রথম” নীতিকে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এতে প্রায় ১৫ শতা কর্মী চাকরি হারাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ
মঙ্গলবার, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ বিষয়ে ঘোষণা দেন। তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ শতাংশ কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণ১০০টি দপ্তর বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রুবিও বলেন, “আমেরিকা প্রথম” নীতি অনুসরণ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
গোপন নথির তথ্রয়টার্ এবং এপি সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তারা প্রশাসনের একটি গোপন নথি পেয়েছে, যা মার্কিন কংগ্রেসকে অবহিত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। ওই নথিতে বলা হয়ে৭৩৪টি অফিসের মধ্যে ১৩২টি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া, ১৩৭টি দপ্তরকে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক মিশনে পরিবর্তন
রুবিও জানান, বর্তমান সময়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যক্রমে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে এবং “অতি কূটনৈতিক ফাঁসে জর্জরিত।” তার মতে, এই প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতার পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক মিশন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই পদক্ষেপটি দূতাবাস এবং কূটনৈতিক মিশনের কাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কোন দপ্তরগুলো বন্ধ হবে?
এখন পর্যন্ত কোন দপ্তরগুলো বন্ধ হবে তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে, ধারণবিশ্বের নারীদের বিষয়ে যে দপ্তর ছ, সেটি বন্ধ হতে পারে। এছাড়া,ডাইভারসিটি এবং ইনক্লিউশন বিষয়ক দপ্তরগুলোও বন্ধ করার পরিকল্পনা থাকতে পারে, কারণ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই দপ্তরের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছিল।
ইউএসএইড ও মানবাধিকার দপ্তর
সম্প্রইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) বন্ধ করা হয়েছে এবং এসব মিশনগুলোও এই শুল্ক কাটছাঁটের আওতায় পড়তে পারে। যদিও মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করা দপ্তরগুলো বন্ধ করা হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে রুবিও এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা মনে করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন, এবং নতুন কাঠামোতে বিদেশের অফিসগুলোকে আমেরিক নীতির দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে।
সামনের পদক্ষেপ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পরিবর্তনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও সহযোগিতা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। শিগগিরই আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে, যা বিশ্বব্যাপী মার্কিন কূটনৈতিক কার্যক্রমের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।