শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| রাত ৯:১৫

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১৮, ২০২৫ ৮:১১ অপরাহ্ণ
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে দায়ী করার ভারতীয় কিছু মহলের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ ঘটনায় স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের জানমাল ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, ভারতের মুর্শিদাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এসব ঘটনার জন্য বাংলাদেশকে কোনোভাবে দায়ী করার চেষ্টাকে ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করছে।
শফিকুল আলম বলেন, “আমরা মনে করি, এ ধরনের সহিংস ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং সত্যনিষ্ঠ নীতির পরিপন্থী। এ বিষয়ে ভারত সরকারকে আরও দায়িত্বশীল ও বাস্তবসম্মত অবস্থান নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সব সময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের পক্ষে। তাই আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে আহ্বান জানাই, যেন তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে।”
ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়, যা পরে মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং আশপাশের জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকটি স্থানে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, ইট-পাটকেল ছোড়া হয় এবং সড়ক অবরোধ করে উত্তেজনা ছড়ানো হয়। এই সহিংসতার জেরে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভীতির মধ্যে পড়েছে এবং সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়।
ঢাকার কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় ভারতে স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু যখন কোনো রাষ্ট্রে মুসলিমদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে, তখন বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ করা যৌক্তিক এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই তা প্রয়োজনীয়।
এই প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নজরে আনার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার নীতিনির্ধারকরা।

সূত্র: বাসস, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি