শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| ভোর ৫:২৪

‘ট্রাম্পবিদ্বেষী’ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ১৬, ২০২৫ ৪:৩১ অপরাহ্ণ
‘ট্রাম্পবিদ্বেষী’ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

‘ট্রাম্পবিদ্বেষী’ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুলকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছেন, যা রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাসুলের মন্তব্য রয়েছে, যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।

রুবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসুলকে ‘জাতিগত উত্তেজনা সৃষ্টিকারী রাজনীতিবিদ’ এবং ‘আমেরিকা ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রাসুলের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই এবং তাকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্সি একে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাসুল, যিনি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় এই পদে নিযুক্ত হন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরু থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমি সংস্কার নীতিমালা, যা শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ভূমি পুনর্বণ্টনের দিকে নির্দেশিত, ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনার মুখে পড়ে। ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প এই নীতির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেওয়া সহায়তা স্থগিত করেন।

এছাড়াও, রাসুল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আন্দোলনটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্যের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে।

এই ঘটনাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতির দিকে ইঙ্গিত করে। দক্ষিণ আফ্রিকা, যা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) নেতৃত্বে পরিচালিত, ফিলিস্তিনের অধিকারের সমর্থক এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই পদক্ষেপগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে।

এলন মাস্ক, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ বিরোধী বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছেন। এটি রাসুলের সমালোচনার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জরুরি। উভয় দেশই পারস্পরিক স্বার্থে এই সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি