খনিজ সম্পদ না দিলে ইউক্রেনে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন যুদ্ধকালীন সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ দাবি করেছে, যা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকারের জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে মার্কিন আলোচকরা। আলোচনার সময় তারা স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বন্ধের সম্ভাবনার কথাও তুলেছেন।
স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংকের সেবা অব্যাহত রাখা নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়, বিশেষ করে যখন জেলেনস্কি মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের প্রাথমিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের গ্রাফাইট, ইউরেনিয়াম, টাইটানিয়াম এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির মূল উপাদান লিথিয়ামের ৫০ শতাংশ চেয়েছিল, যা জেলেনস্কি সরাসরি নাকচ করেন। তবে স্টারলিংক সেবা বন্ধ হয়ে গেলে ইউক্রেনের সামরিক কার্যক্রমে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।
স্টারলিংক বর্তমানে ইউক্রেনের সামরিক ড্রোন পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আটলান্টিক কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ গবেষক মেলিন্ডা হারিং বলেন, ‘স্টারলিংক বন্ধ হলে এটি যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। ইউক্রেনের ড্রোন সক্ষমতা রাশিয়ার সঙ্গে সমান অবস্থানে এসেছে, যা পুরোপুরি এই সেবার ওপর নির্ভরশীল।’
যদিও জেলেনস্কি এখন পর্যন্ত মার্কিন শর্ত মানতে রাজি হননি, তবে তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশের আলোচকরা সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ট্রাম্পও আশা করছেন, শিগগিরই একটি চুক্তি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পর ইলন মাস্ক ইউক্রেনে হাজার হাজার স্টারলিংক টার্মিনাল পাঠান, যা যুদ্ধকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে কাজ করছে। তবে পরবর্তীতে তিনি কিয়েভের যুদ্ধনীতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে স্টারলিংকের ব্যবহার সীমিত করেছিলেন।