গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ১০টি সবচেয়ে কঠিন ও অবিশ্বাস্য রেকর্ড
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অনেক অবিশ্বাস্য এবং কঠিন রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো ভাঙা প্রায় অসম্ভব। নিচে ১০টি সবচেয়ে কঠিন রেকর্ড তুলে ধরা হলো—
১. সবচেয়ে বেশি সময় শ্বাস ধরে রাখা
ডেনমার্কের ফ্রি ডাইভার স্টিগ সেভারিনসেন ২০২১ সালে পানির নিচে ২৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রেখে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। এটি ভাঙা মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন, কারণ সাধারণ মানুষ মাত্র ২-৩ মিনিট শ্বাস ধরে রাখতে পারে।
২. এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি পুশ-আপ (এক হাতে, পিছনের দিকে হাত রেখে)
পাভেল হলোবোভিচ নামের এক ব্যক্তি ১ মিনিটে ৬৩টি পুশ-আপ করে এই রেকর্ডটি গড়েন। পেছনের দিকে হাত রেখে পুশ-আপ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং এটি খুব কম মানুষই করতে পারে।
৩. সবচেয়ে উঁচু জায়গা থেকে প্যারাস্যুট ছাড়া লাফ
২০১২ সালে, ফ্রাঞ্জ রেইডেল নামের এক ব্যক্তি ২৫,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে প্যারাস্যুট ছাড়া ঝাঁপিয়ে নিরাপদে ভূমিতে অবতরণ করেন। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং রেকর্ডটি ভাঙতে জীবন ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে।
৪. এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি নারিকেল হাত দিয়ে ভাঙা
মোহাম্মদ কুরেশি ২০২২ সালে মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ১৫০টি নারিকেল ভেঙে রেকর্ড গড়েন। এটি প্রচণ্ড শারীরিক শক্তি ও ধৈর্য্যের পরীক্ষা।
৫. সবচেয়ে দীর্ঘ সময় বরফে থাকা
ডাচ অ্যাথলেট উইম হফ ১১২ মিনিট বরফ ভর্তি বাক্সে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেন। বরফের ভেতরে এতক্ষণ থাকার জন্য অসাধারণ সহনশীলতা প্রয়োজন হয়।
৬. এক পায়ে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা
সান্তোষ নাম্বিয়ার ৭৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে এই রেকর্ডটি গড়েন। এটি অবিশ্বাস্য মানসিক ও শারীরিক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।
৭. সবচেয়ে দ্রুত টাইপরাইটিং (নিতে বাধ্য করা হয়েছিল একটি চোখ বন্ধ করে)
মাইকাল শার্ড এক চোখ বন্ধ রেখে মাত্র ৫০.৪ সেকেন্ডে ১০৩ শব্দ টাইপ করে রেকর্ড গড়েন। এটি প্রচণ্ড মনোযোগ ও টাইপিং দক্ষতার দাবি রাখে।
৮. সবচেয়ে ভারী ওজন তোলা (দাঁত দিয়ে)
রিকার্ডো সালভাদর নামের এক ব্যক্তি নিজের দাঁত দিয়ে ২৮১ কেজি ওজন তুলতে সক্ষম হন। এটি দাঁতের সহনশীলতার জন্য অতি কঠিন রেকর্ড।
৯. এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি স্কিপিং রোপ লাফানো (এক পায়ে)
পভান দেব ১ মিনিটে ১১৬ বার এক পায়ে স্কিপিং রোপ লাফিয়ে রেকর্ড করেন। এটি ভারসাম্য, ধৈর্য্য ও অসাধারণ শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয়।
১০. সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জাগ্রত থাকার রেকর্ড
র্যান্ডি গার্ডনার ১৯৬৪ সালে ১১ দিন ২৫ মিনিট না ঘুমিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেন। এটি এতটাই কঠিন যে, আধুনিক বিজ্ঞানীরা কাউকে এটি করার পরামর্শ দেন না, কারণ এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে।
এগুলো এমন কিছু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড যেগুলো ভাঙা প্রায় অসম্ভব। এই রেকর্ডগুলো চরম শারীরিক, মানসিক ও মানসিক শক্তির পরীক্ষা নেয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক হয়ে থাকে।