ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ভারী বোমার চালান পেল ইসরায়েল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেনের আরোপিত অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে ভারী বোমার একটি চালান পৌঁছেছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকলেও তিনি ইসরায়েলে বোমা সরবরাহের অনুমতি দিয়েছেন, কারণ তিনি “শক্তির মাধ্যমে শান্তি” নীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, “তারা বাইডেন প্রশাসনের আমলেই এই অস্ত্রগুলো কিনেছিল, কিন্তু বাইডেন সরবরাহ করতে রাজি হননি। আমি বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখি। শক্তি থাকলে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।”
ইসরায়েলে পাঠানো অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এমকে-৮৪ বোমা, যা ২ হাজার পাউন্ড (৯০৭ কেজি) ওজনের একটি বিধ্বংসী বোমা। এটি পুরু কংক্রিট ও ধাতব কাঠামো ভেদ করতে সক্ষম এবং বিস্তৃত বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
বাইডেন প্রশাসন গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের বোমার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এর রপ্তানি স্থগিত করেছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় ফিরে এসে গত মাসে আটকে থাকা চালানটির অনুমোদন দেয়।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, “এই চালানটি আমাদের বিমানবাহিনী ও আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অটুট মিত্রতার আরেকটি প্রমাণ।”
গাজার চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনিশ্চয়তার মধ্যেই এই অস্ত্র পাঠানো হলো। উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তা কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনাকে আরও উসকে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।