ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার লক্ষ্যে সৌদি আরব আগামী চার বছরে দেশটিতে ৬০ হাজার কোটি ডলার নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই প্রস্তাব দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক সংস্কার নীতি একটি “অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি” আনতে পারে এবং সৌদি আরব সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। ক্রাউন প্রিন্স আরও জানান, “যদি আরও সুযোগ তৈরি হয়, তবে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোও সম্ভব।”
বিনিয়োগের এ প্রস্তাব ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে। সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় দফায় শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি সৌদি আরব ৫০ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য কিনতে রাজি হয়, তাহলে তিনি দেশটিকে তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করবেন। তিনি উল্লেখ করেন, “২০১৭ সালেও এমনটা হয়েছিল। সৌদি আরব ৪৫ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য কিনতে রাজি হয়েছিল এবং আমি তাদের দেশে সফর করেছিলাম।”
তবে এই বিনিয়োগ সরকারি নাকি বেসরকারি খাত থেকে আসবে, বা কোন কোন খাতে এটি ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এমনকি ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পরেও, তার জামাতা জ্যারেড কুশনারের প্রতিষ্ঠানে সৌদি আরব ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল।
সৌদি আরবের এই বিনিয়োগ প্রস্তাবকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরব তার অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টায় যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে আরও গতিশীল হতে পারে।