ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও নিজের সাবেক উপদেষ্টা ইলন মাস্কের সঙ্গে সকল সম্পর্ক শেষ বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্পষ্ট বলেন, “মাস্কের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে গেছে। আমি তার সঙ্গে আর কথা বলতে চাই না। আশা করি, তিনি টেসলায় আরও উন্নতি করবেন।”
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি এখন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্যস্ত, তাই ভবিষ্যতেও মাস্কের সঙ্গে কথা বলার সময় বের করার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন। মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের সহায়তা করেন, তাহলে তার পরিণতি গুরুতর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। “যদি তিনি বিরোধী দলকে চাঁদা দেন, তাহলে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে,” বলেন তিনি।
ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্কের শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাইয়ে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে। সে সময় মাস্ক নিয়মিত ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত থাকতেন এবং রিপাবলিকান দলের প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্পের প্রচার তহবিলে কমপক্ষে ২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন মাস্ক।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর মাস্ককে সরকারি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে গঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা ডজ-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাম্প।
তবে সম্প্রতি কর ছাড় এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির একটি বিল নিয়ে দুজনের মধ্যে মতানৈক্য শুরু হয়। মে মাসের শেষ দিকে মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি আরও সরব হয়ে ওঠেন। জনগণকে বিলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আহ্বান জানান, ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেন এবং দাবি করেন, তার অর্থ সহায়তা ছাড়া ট্রাম্প কখনো প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। এমনকি কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক থাকার অভিযোগও আনেন মাস্ক।
ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং তার পরবর্তী হুমকির মধ্যে এই ঘটনার ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোর আলোচনা।