শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ও জনতার সঙ্গে শ্রমিকরা দাঁড়িয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হলে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করা জরুরি। বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, এবারের ১ মে জুলাই অভ্যুত্থানের পর এক নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। একটি জাতির উন্নয়নের ভিত্তি পরিশ্রমী শ্রমিক ও দায়িত্বশীল মালিকের ওপর নির্ভর করে। দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হলে মালিক-শ্রমিক ঐক্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে করা অঙ্গীকার অনুযায়ী বাংলাদেশ আগামী জুন মাসে ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশ নেবে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো শ্রম কমিশনের রিপোর্ট ও সুপারিশমালা। এই সুপারিশমালাই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
শ্রমিকদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, এটি শুধু শ্রমিকের অধিকার নয়, বরং শিল্প উন্নয়নেরও অন্যতম শর্ত। তিনি বলেন, শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নের প্রভাব পুরো অর্থনীতিতে পড়ে। এই লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধনসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রম আদালতের কার্যক্রমও আগের চেয়ে গতিশীল হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তির হার বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচজন শ্রমিক পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদ।