রমনা বটমূলে ভয়াবহ বোমা হামলা মামলার রায় ৮ মে ঘোষণা করবে হাইকোর্ট
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের প্রাণকেন্দ্র ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার দুই দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে চূড়ান্ত রায়ের দিন নির্ধারিত হলো। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকার রমনা বটমূলে সংঘটিত সেই বিভীষিকাময় হামলার মামলার রায় আগামী ৮ মে ঘোষণা করবে হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায়ের দিন ধার্য করেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার শেষে বহুল প্রতীক্ষিত রায়
এই মামলার শুনানি শেষ হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও তাদের দায়ের করা জেল আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনে রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। আজ সেই মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করলো আদালত।
কি ঘটেছিল সেই ভয়াল দিনে?
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ১০ জন নিরীহ মানুষ, আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাংস্কৃতিক মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর এক বর্বর হামলা হিসেবে বিবেচিত হয় এই ঘটনা।
বিচারে কারা অভিযুক্ত?
এই হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) প্রধান মুফতি হান্নানসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে বিচার শুরু হয়। ২০১৪ সালে ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করে, যেখানে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী এই রায় উচ্চ আদালতে পাঠানো হয় ডেথ রেফারেন্স হিসেবে এবং আসামিরা জেল আপিল করেন।
জাতির নজর এখন ৮ মে’র দিকে
এই রায় শুধু একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার বিচার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পরিণতি। বহু বছর ধরে ঝুলে থাকা এই মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে।