কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাক উদ্বোধন
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মানুষদের জন্য আজকের দিনটি হয়ে থাকল স্মরণীয়— কারণ, অবশেষে চালু হলো বহু প্রতীক্ষিত সি-ট্রাক সার্ভি আর এর মধ্য দিয়েই এক নতুন যুগে পা রাখল কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্রথম সি-ট্রাক। উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসে তিনি উদ্বোধনের পর নিজেই সি-ট্রাকে চড়ে রওনা দেন মহেশখালীর উদ্দেশে।
অপেক্ষার অবসান, স্বস্তি মহেশখালীবাসীর
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ ও নিয়মিত নৌপরিবহন না থাকায় দ্বীপবাসীদের যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কখনো ট্রলার, কখনো নৌকা— ঝুঁকি নিয়েই চলতে হতো পথ। এবার সি-ট্রাক চালুর মাধ্যমে সেই কষ্টের অবসান ঘটবে বলে আশাবাদ মহেশখালীবাসীর।
এর আগেশুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে এই রুটে সি-ট্রাক চালানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো সার্ভিসটির।
আধুনিক নৌযাত্রা, ভাড়াও সাশ্রয়ী
বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার (কস্তুরাঘাট) নদীবন্দরের সহকারী পরিচমো. খায়রুজ্জামান জানান, এই সি-ট্রাক প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চলাচল করবে। যাত্রীদের জন্ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আনবে।”
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনরাও
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজপ্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও জনসেবামূলক বলে উল্লেখ করেন।
অবকাঠামোগত অগ্রগতির পথে কক্সবাজার
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই সি-ট্রাক সার্ভিস কেবল যাত্রীদের জন্য নয়, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও দ্বীপবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতের দিন এবার শেষ হতে চলেছে।
সাধারণ মানুষ এখন আশায় বুক বেঁধেছে— এই সি-ট্রাক যেন নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য হয়। কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে আধুনিকতার যে দিগন্ত আজ উন্মোচিত হলো, সেটি যেন টেকসই হয়— এটাই প্রত্যাশা সবার।