পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক: বিশ্ব নেতার প্রতি সম্মান
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই শোকবার্তা জানান, যেখানে পোপ ফ্রান্সিসের শান্তি, সহানুভূতি ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপের জন্য অবদানের প্রশংসা করেন।
তারেক রহমান তাঁর পোস্টে লেখেন, “পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন একজন শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক নেতা, যাঁর জীবন ছিল শান্তি, সহানুভূতি, নম্রতা এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপ গড়ে তোলার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর নৈতিক দৃঢ়তা এবং সকল মানুষের মর্যাদার প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি তাঁকে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতির মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও প্রশংসার পাত্র করে তুলেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায় এবং এই অপূরণীয় ক্ষতিতে শোকাহত সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে।”
ভ্যাটিকান সূত্রে জানা গেছে, ৮৮ বছর বয়সে সোমবার (২১ এপ্রিল) ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে পোপ ফ্রান্সিস মারা যান। তাঁর মৃত্যুসনদে বলা হয়েছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং হৃদরোগের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর জীবদ্দশায় শান্তি, পরিবেশ সংরক্ষণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং আন্তঃধর্মীয় সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন, যা তাঁকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশেও পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করা হচ্ছে। তাঁর ২০১৭ সালের বাংলাদেশ সফর এখনো অনেকের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে। সেই সফরে তিনি শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পক্ষে কথা বলেছিলেন, যা বাংলাদেশের জনগণের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
তারেক রহমানের শোকবার্তা পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের শ্রদ্ধার প্রতিফলন। এই শোকবার্তার মাধ্যমে তিনি শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকেও এই মহান নেতার প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। পোপ ফ্রান্সিসের শান্তি ও মানবতার বার্তা বিশ্বব্যাপী তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট