শনিবার, ৭ই জুন, ২০২৫| রাত ১২:০০

সাইবার প্রতারণায় ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’: ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের পদক্ষেপ

প্রতিবেদক
staffreporter
ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ ৪:২৭ অপরাহ্ণ

সাইবার প্রতারণায় ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’: ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের পদক্ষেপ

সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধের নতুন ধারা ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সন্দেহজনক ১,৭০০ স্কাইপ আইডি এবং ৫৯,০০০ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ প্রতারণা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, গত ১০ মাসে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ২,১৪০ কোটি টাকা হারিয়েছে। থাইল্যান্ড, হংকং এবং লাওসের মতো দেশ থেকে ভারতে এই প্রতারণা পরিচালিত হচ্ছে। ইডি ইতোমধ্যে ১৫৯ কোটি টাকার প্রতারণার সন্ধান পেয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ১১৫তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই প্রতারণা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতারকরা ফোনে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যে মানুষ ভীত হয়ে তাদের নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়। মোদির পরামর্শ, অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে এবং প্রতারণামূলক ফোনকল রেকর্ড করতে হবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
ইতিহাসের এই দিনে (৬ জুন, ২০২৫)

ইতিহাসের এই দিনে (৪ এপ্রিল, ২০২৫)

ব্যাংক এশিয়া পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: আবেদন চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত

ব্যাংক এশিয়া পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: আবেদন চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত

ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেম, ব্রেকআপ ও অনুশোচনার গল্পে মুখ খুললেন বিবেক ওবেরয়

ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেম, ব্রেকআপ ও অনুশোচনার গল্পে মুখ খুললেন বিবেক ওবেরয়

আজকের মুদ্রার হার (৬ জুন, ২০২৫)

আজকের মুদ্রার হার (৩ জানুয়ারি, ২০২৫)

আজকের নামাজের সময়সূচি (৬ জুন, ২০২৫)

আজকের নামাজের সময়সূচি (২১ এপ্রিল, ২০২৫)

এক দিন পিছিয়ে ২২ মার্চ শুরু হতে পারে আইপিএল

এক দিন পিছিয়ে ২২ মার্চ শুরু হতে পারে আইপিএল

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

পরিবর্তিত সময়সূচিতে ৪৬তম বিসিএস লিখিত ও ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে

আবারও সিরিজ হার, তবে আশার কথা শোনালেন কোচ সিমন্স

আবারও সিরিজ হার, তবে আশার কথা শোনালেন কোচ সিমন্স

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সংরক্ষিত স্টল ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেল বিসিক

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সংরক্ষিত স্টল ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেল বিসিক

সংঘর্ষ নয়, অতর্কিতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সাদপন্থীরা: দাবি হেফাজতের