খেলাপি ঋণ বেশি থাকলে ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ দিতে পারবে না
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নীতিমালা চালু করেছে, যার ফলে যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি, তারা ২০২৫ সালে লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এতে প্রায় ২৩টি ব্যাংক এই সিদ্ধান্তের আওতায় আসবে।
কঠোর নীতিমালার ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ সংক্রান্ত একটি নতুন নীতিমালা জারি করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংকগুলো শুধুমাত্র বছরে অর্জিত মুনাফা থেকে নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে, পূর্বের মুনাফা থেকে নয়।
এছাড়া, যদি কোনো ব্যাংকের তারল্য ঘাটতি (Liquidity Deficit) থাকে, বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেয়, তবে তারা লভ্যাংশ ঘোষণার অনুমতি পাবে না। নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, লভ্যাংশের পরিমাণ ব্যাংকের মূলধনের ৩০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
মূলধন সংরক্ষণে গুরুত্ব
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। যেসব ব্যাংক এই শর্ত পূরণ করতে পারবে, তারা শর্ত অনুযায়ী লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। তবে প্রভিশন ঘাটতি থাকলে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিমানা অনাদায়ী থাকলে, সে ব্যাংকও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
ব্যাংক খাতের জন্য কী প্রভাব পড়বে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার ২০ শতাংশের বেশি। ফলে এই নীতিমালা কার্যকর হলে অনেক ব্যাংক লভ্যাংশ দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই কঠোর নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের স্বার্থকে শেয়ারহোল্ডারদের লাভের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে এবং তাদের আর্থিক অবস্থা আরও শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হবে।