কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার এবং বিএনপির সমর্থক শফিকুল। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের দিন পাঁচজনকে আটক করে সেনা সদস্যরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল। তাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে শুক্রবার চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনা মহানগর বিএনপি এক বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ‘টার্গেট করে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মূল ঘটনা গোপন রেখে কুয়েট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলায় জড়িয়েছে।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ছাত্রদল সমর্থক রাহুল জাবেদ, ইফাজ ও ইউসুফের ওপর অতর্কিত হামলার মাধ্যমে হয়। এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়ে ওঠে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, কুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ কোনো তদন্ত ছাড়াই তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর গুপ্ত ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা হামলা চালায়, অথচ মামলায় তাদের নাম নেই। আহত বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপি সমর্থক শফিকুলকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা এবং সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়, যেখানে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন।