মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫| রাত ৩:৩৯

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা – দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান আমেরিকার

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ২৮, ২০২৫ ১০:১৫ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা - দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান আমেরিকার

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা – দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান আমেরিকার

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক।
বাড়তে থাকা এই উত্তেজনার মাঝেই শান্তির বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—
“দায়িত্বশীল সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে।”

চরম উত্তেজনায় দুই প্রতিবেশী

পেহেলগামের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কার্যত চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
কূটনৈতিক পর্যায়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি, আর সীমান্তে বাড়তে থাকা গোলাগুলির ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এই টানাপড়েন যে সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, সেই শঙ্কায় চোখ রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান: শান্তির ডাক

রবিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় দেশের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছে।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন—

“এটি একটি চলমান পরিস্থিতি। আমরা ভারত ও পাকিস্তান—দুই দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করছি।”
“সব পক্ষকে আমরা দায়িত্বশীল সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি।”

হামলার নিন্দা, তবে পাকিস্তানের প্রতি সতর্কতা?

পেহেলগামের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তারা প্রকাশ্যে ভারতকে সমর্থন জানালেও, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে সরাসরি সমালোচনা করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন—

“যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সমর্থন জানায় এবং পেহেলগামে সংঘটিত জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করে।”

এই মন্তব্য মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স-এর সাম্প্রতিক মন্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি।
তবে তাদের ভাষায় কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

উত্তেজনার পেছনে আরও যে খবর

সম্প্রতি কাশ্মির সীমান্তে ফের গোলাগুলি হয়েছে, যেখানে দুপক্ষের সেনাবাহিনীই জড়িয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি এসেছে—

“উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না।”

ভারতের পক্ষ থেকেও কঠোর প্রতিক্রিয়া এসেছে।
এমনকি পাকিস্তানের কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের পদ্ধতি নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।
কিছু প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে—”ইসরায়েলি কায়দায়” অভিযান চালানো হচ্ছে।

শেষ কথা

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের কাছে বিশ্বের প্রত্যাশা একটাই—
দায়িত্বশীলতা, সংযম এবং আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনার অবসান।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি