বাংলাদেশ এবার পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি আমদানি করেছে, যা আগামী মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এ পদক্ষেপটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন পর নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সাধারণত বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও এবার পাকিস্তান থেকেও এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তানি চিনি রপ্তানির এই উদ্যোগ দেশটির চিনি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর পাকিস্তানের উৎপাদিত চিনি এত বড় পরিমাণে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
বিসিএসসহ সব চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় ইউনেস্কো ২৭৬ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের চিনি শিল্প ২০২৩ সালে প্রায় ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে এবং ৫০ হাজার টন থাইল্যান্ডে রপ্তানি করা হবে।
পাকিস্তানের শীর্ষ চিনি ব্যবসায়ী মজিদ মালিক জানিয়েছেন, উপসাগরীয়, আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোও পাকিস্তানি চিনি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রপ্তানি থেকে দেশটি ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রত্যাশা করছে।
এছাড়া চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০টিরও বেশি চিনিকল চিনি উৎপাদন শুরু করেছে। পাকিস্তানের চিনি শিল্প ইতোমধ্যে দেশটির অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে পরিণত হয়েছে।