ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হার্ডলাইন: হামলার সম্ভাবনা
মধ্যপ্রাচ্য এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য প্রায় শত্রুমুক্ত। এই দুই দেশের পথে একমাত্র বাধা ইরান, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও শক্তিশালী অবস্থান থেকে সরে আসেনি। ওয়াশিংটন এবং তেল আবিবের কর্মকর্তারা শঙ্কিত, ইরান যে কোনো সময় পাল্টা হামলা চালিয়ে তাদের সংকটে ফেলতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
নভেম্বর ২০২৪ সালের ৫ তারিখে মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের উপর কয়েকটি আততায়ী হামলার চেষ্টা হয়, যা ইরানকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন তৈরি করে। মার্কিন গোয়েন্দারা তখন দাবি করেছিল, ট্রাম্পের জীবন নেয়ার জন্য ইরান চেষ্টা করতে পারে। যদিও তেহরান দাবি করেছে, তাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে, ট্রাম্পের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজরদারি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইসরায়েল অভিযোগ করেছে যে, ইরান তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনায় প্রায় সফল হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য এটি একটি বড় হুমকি, এবং তা প্রতিহত করার জন্য ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা বা কূটনীতি নয়, বরং আগেভাগে বিমান হামলার মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষে। তার প্রশাসনের সদস্যরা মনে করেন, ইরানকে চাপে রাখতে এবং তাদের পরমাণু সক্ষমতা ভেঙে দিতে হামলা কার্যকরী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতনের পর এবং লেবানন ও ফিলিস্তিনে ইরানি প্রক্সির দুর্বল হয়ে পড়ার ফলে ইরান অনেকটাই একা হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে চেপে ধরতে এবং তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করতে পারে। তবে, এই পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
প্রথম টার্মে ট্রাম্প ইরানের সেনা বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলাইমানির হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা ইরানকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন করেছিল। এই হামলার পর ইরান এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল যে, ট্রাম্পের মাথার মূল্য ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে, ট্রাম্প যদি পুনরায় ইরানকে আঘাত করতে সক্ষম হন, তবে এটি তার জন্য একটি সুযোগ হতে পারে।
এখন ট্রাম্পের টিম ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা চালানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে, যদিও এটি এখন পর্যন্ত একটি প্রাথমিক ধারণা।