গাজায় যুদ্ধবিরতি শর্তে সৌদি আরব-ইসরায়েলের গোপন কূটনৈতিক আলোচনার তথ্য ফাঁস
গাজায় বর্বর হামলার মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গোপন আলোচনা চালাচ্ছিল সৌদি আরব। তবে দেশটি শর্ত দিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলে তাদের এ পথে এগোবার সিদ্ধান্ত হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার (১১ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল। ওই সময় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে ইসরায়েল যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করবে বলে আশাবাদ করা হয়েছিল।
নেতানিয়াহু প্রথমে এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন এবং ২০২৪ সালের মে মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি যুদ্ধবিরতিতে নতুন শর্ত আরোপ করলে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ২০২৪ সালের ১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দাম্মামে বৈঠক করেন। প্রিন্স সালমান ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে শর্ত দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা।
১৯ মে সুলিভান ইসরায়েলে গিয়ে নেতানিয়াহুকে প্রিন্স সালমানের শর্ত পৌঁছে দেন। ২৭ মে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যা চারদিন পর বাইডেন ঘোষণা করেন। তবে ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় হামাস রাজি হয়নি।
যদিও সৌদির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক হয়নি, ইসরায়েল তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং এর অংশ হিসেবে নেতানিয়াহু গোপনে নিজের এক মন্ত্রীর আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস