চীনের বিশ্বব্যাপী খনিজ সম্পদ অর্জনে দৌড়: প্রতিযোগিতায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
নিজেদের শিল্পোৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ কাঁচামালের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে বিশ্বজুড়ে একের পর এক খনি কিনে চলেছে চীন। ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৩ সাল থেকে প্রায় ১২ বছরে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১০টি খনি কিনেছে, যার প্রতিটির মূল্য ১০ কোটি ডলারেরও বেশি।
চীনের কেনা খনিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাজাখস্তান, ঘানা ও আইভরি কোস্টের তিনটি স্বর্ণের খনি, জাম্বিয়ায় একটি দস্তার খনি, ব্রাজিলে একটি দস্তা ও একটি স্বর্ণের খনি, এবং তানজানিয়ায় বিরল খনিজ পদার্থের খনির ৫০ শতাংশ শেয়ার।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এই একের পর এক খনি কেনার প্রবণতা ক্ষয়িষ্ণু ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন, যার কারণে বেইজিং কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে বিনিয়োগ করতে পারছে না।
বিশেষ করে বিরল খনিজ উপাদান পরিশোধন খাতে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন, যেখানে বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশ পরিশোধিত বিরল খনিজ পদার্থ আসে চীন থেকে।
চীন বর্তমানে খনিজ সম্পদের নিরাপত্তাকে জাতীয় নীতির পর্যায়ে উন্নীত করেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কারণ বিশ্বজুড়ে লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেলসহ বিভিন্ন খনিজের দাম বাড়ছে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের এই খনি ক্রয়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীনের খনি ক্রয়ের পথে বাধা দিচ্ছেন। গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন রুয়ান্ডা ও ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর সঙ্গে খনিজ সম্পদ উত্তোলন নিয়ে অংশীদারিত্ব চুক্তিও করেছে।
সূত্র: আরটি।