স্বাস্থ্যকর ড্রাগন ফল: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার ১২টি উপকারিতা
গরমে ফলের দোকানে চোখে পড়ছে টকটকে লাল ড্রাগন ফল। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, গুণেও তেমনি ভরপুর এই ফলটি। ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা এনে দেয়। ওয়েবএমডি, ফোর্বস ম্যাগাজিন ও হেলথলাইনের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে যেসব উপকার হয়, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর। এতে থাকা প্রিবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এই ফলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, ভিটামিন সি, এ এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল ও এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনে ড্রাগন ফল অত্যন্ত সহায়ক। এতে ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীর সহজে সংক্রমণ ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা পায়। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ৩ গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে, যা দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে সহায়ক।
বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ড্রাগন ফল কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এর গ্লাইসেমিক সূচক কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। এই ফলে থাকা উচ্চ জলীয় উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং বয়সজনিত বলিরেখা কমায়। পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি হাড় ও দাঁতের গঠনে ভূমিকা রাখে।
ড্রাগন ফল আয়রনেরও দারুণ উৎস, যা শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়ক এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সব মিলিয়ে, ড্রাগন ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।