ইরানকে পরমাণু অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে আলোচনা থেকে সরে যাবে: তেহরান
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগশি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পরমাণু প্রকল্প চালানো তাদের অধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি সেই অধিকার কেড়ে নিতে চায়, তাহলে তেহরান তা কখনও মেনে নেবে না। কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সংলাপে ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অংশ নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আরাগশি বলেন, “আমরা খোলা মন নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু যদি উদ্দেশ্য হয় আমাদের পরমাণু অধিকার কেড়ে নেওয়া, তাহলে আমরা আলোচনায় থাকব না।”
২০১৫ সালে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘জ্যাকোপা’ নামে একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা পরে ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৭ সালে বাতিল করে দেয়। এরপর চুক্তিটি কার্যকারিতা হারায় এবং ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএইএ সম্প্রতি জানায়, ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, যা ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় উন্নীত হলে তা দিয়ে ছয়টি পরমাণু বোমা তৈরি সম্ভব।
এই তথ্য সামনে আসার পর ট্রাম্প প্রশাসন নড়েচড়ে বসে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি চিঠিও পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানও আলোচনায় সম্মত হয় এবং ওমানের মধ্যস্থতায় সংলাপ শুরু হয়।
আরাগশি আরও বলেন, ইরান আলোচনা করতে প্রস্তুত, যদি সেটা অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখার বিষয়ে হয়। তবে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকার ইরান কখনও ত্যাগ করবে না, কেননা সেটি তাদের সার্বভৌম অধিকার।