আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, শনিবার সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শুক্রবার রাত থেকে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলনসহ নানা দলের কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাদের সঙ্গে মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী ও তার কিছু অনুসারীও অবস্থান নিয়েছেন।
রাত ১১টার দিকে শাহবাগে জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিসংবলিত পোস্টার হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। তারা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘এই মুহূর্তে ব্যান চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’—এমন বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। শাহবাগেই আওয়ামী লীগের কবর খুঁড়ব।” তিনি ইন্টারিম সরকারের দ্রুত ঘোষণা না হলে সারা দেশব্যাপী অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন এবং ‘গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের দাবি জানান।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “এই লড়াই বাংলাদেশপন্থি বনাম ফ্যাসিবাদপন্থি লড়াই। অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না।”
এর আগে রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ‘মার্চ টু ঢাকা’র মতো কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দেন। তিনি লিখেছেন, “দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে।”
আন্দোলনকারীরা জানান, সরকার যদি দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না দেয়, তাহলে আন্দোলনের পরিধি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে শাহবাগে নেতাকর্মীদের জমায়েতের কারণে আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শাহবাগ মোড় থেকে কাঁটাবন, মৎস্য ভবন ও কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ে।