শেষ সেকেন্ডে শিরোপা মিস, পরদিনই প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন হ্যারি কেইন
ইউসুফ পোলসেনের নাটকীয় গোলের আগে ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। বায়ার্ন মিউনিখের জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল, তাই প্রথম শিরোপা উদযাপন করতে দর্শক সারি থেকে মাঠে নেমে এসেছিলেন হ্যারি কেইন। কিন্তু লাইপজিগের পোলসেন শেষ মুহূর্তে গোল করে থামিয়ে দেন বায়ার্নের উৎসব। আর এতে প্রথম শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয় কেইনেরও।
তবে সেই অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি। কেবল একদিন পরেই বুন্দেসলিগার আরেক ম্যাচে ফ্রাইবুর্গের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে বায়ার লেভারকুসেন। এই ফলাফলের ফলে নিশ্চিত হয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখের রেকর্ড ৩৪তম বুন্দেসলিগা শিরোপা। আর একই সঙ্গে হ্যারি কেইনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথম দলগত শিরোপার স্বাদ পাওয়ার পালাও এসে যায়।
ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি ইউরো ফাইনাল হার, টটেনহামের হয়ে এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও ব্যর্থতা—এসবই যেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমা থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও একাধিকবার কাছাকাছি গিয়েও হয়নি স্বপ্ন পূরণ। তাই বহু কাঙ্ক্ষিত শিরোপার খোঁজেই কেইন ঘরের দল টটেনহাম ছেড়ে পাড়ি জমান জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে। কিন্তু এখানেও যেন প্রথম মৌসুমে নেমে আসে হতাশার ছায়া—ডিএফএল সুপার কাপে হেরে যান, লিগ শিরোপাও আগেরবার হাতছাড়া হয়।
তবে এবার আর হতাশার অবকাশ নেই। ৩৪ ম্যাচের লিগে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচ শেষে বায়ার্ন মিউনিখের সংগ্রহ ৭৬ পয়েন্ট, যেখানে সমান ম্যাচে লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৬৮। লিগে আর দুটি ম্যাচ বাকি থাকতেই বায়ার্ন নিশ্চিত করে ফেলে তাদের শিরোপা।
বুন্দেসলিগায় এটি বায়ার্নের সর্বমোট ৩৪তম এবং শেষ ১৩ মৌসুমে তাদের ১২তম শিরোপা। টানা ১১ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত মৌসুমে লেভারকুসেনের কাছে হেরে মুকুট হারিয়েছিল বাভারিয়ানরা। এবার তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপা ফিরিয়ে এনেছে, আর সেই দলের সদস্য হিসেবে হ্যারি কেইন পেয়েছেন জীবনের প্রথম শিরোপার স্বাদ—১৫ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে এক ঐতিহাসিক অর্জন।