খালেদা জিয়ার ফেরাকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি
চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে বহনকারী কাতারের আমীরের পাঠানো একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আগামী ৬ মে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা।
এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন তার দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) একটি কঠোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির অপারেশন বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভিআইপি টার্মিনাল ও সংলগ্ন ভবনের ছাদে পুলিশের অবস্থান থাকবে এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকা নজরদারিতে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওয়াকিটকির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ এলাকায় নেতা-কর্মীদের জমায়েত হতে দেওয়া হবে না; তাদের মূল সড়কের একপাশে রাখা হবে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হবে এবং বহরের ভেতরে যাতে কেউ হঠাৎ করে ঢুকতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকবে পুলিশ।
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে এবং তার গাড়ি নির্বিঘ্নে সেখানে পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। যানজট এড়াতে মহাখালী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক একমুখী করার পরিকল্পনা রয়েছে। খালেদা জিয়ার গাড়ি বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, বনানী ফ্লাইওভার হয়ে ফিরোজায় যাবে এবং এ সময় অন্যান্য যানবাহনকে বিকল্প সড়কে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল খালেদা জিয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি সরাসরি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। তবে নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ওই ফ্লাইটের দায়িত্বে থাকা দুই কেবিন ক্রু — আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম —কে শুক্রবার মধ্যরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে বিমান সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।