বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫| রাত ১:০৮

সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরু, জনপ্রিয়তা পরীক্ষায় লরেন্স উওং

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ৩, ২০২৫ ৬:৩০ অপরাহ্ণ
সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরু, জনপ্রিয়তা পরীক্ষায় লরেন্স উওং

সিঙ্গাপুরে পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরু, জনপ্রিয়তা পরীক্ষায় লরেন্স উওং

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে আজ শনিবার পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে দেশের ১ হাজার ২৪০টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়, যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এবার ৯৭ আসনের মধ্যে ৯২টিতে ভোট হচ্ছে, এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল রোববার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয়, আবাসন সমস্যা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা এবং বয়স্কদের নিরাপত্তা—এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো ভোটের ফল নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলবে। যদিও সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (প্যাপ) আবারও জয়লাভ করবে বলেই সবাই মনে করছেন, প্রশ্ন হচ্ছে বিরোধীদের সঙ্গে তাদের ব্যবধান কতটা থাকবে।

প্যাপ ১৯৫৯ সাল থেকে টানা প্রতিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসছে এবং সাধারণত ৯০ শতাংশের বেশি আসনে জয় পেয়ে থাকে। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে দলটির জনপ্রিয়তায় কিছুটা ধস নামে। ওই নির্বাচনে প্যাপ পার্লামেন্টের মাত্র ৬০ শতাংশ আসনে জয় পায়, যেখানে বাকি ১০টি আসনে বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি জয়লাভ করে। এটি ছিল প্যাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল ফলাফল।

চলতি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই প্যাপের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারও ফলাফল আরও খারাপ হতে পারে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ল্যাম পেং ইর বলেন, “গতবার প্যাপ ৬০ শতাংশ আসন পেয়েছিল, এবার তা ৫৭ বা ৫৮ শতাংশে নামতে পারে।” তারপরও তিনি মনে করেন, “প্যাপকে হারানো প্রায় অসম্ভব, কারণ দলটি এখনো ব্যাপক জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য।”

সিঙ্গাপুর স্বাধীন হওয়ার পর ৬০ বছরে মাত্র চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে, যারা সবাই প্যাপের নেতা ছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষমতায় ছিলেন লি কুয়ান ইউ, যিনি ২৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার ছেলে লি সেইন লুং ২০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালের মে মাসে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লরেন্স উওং ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে এবারের নির্বাচন তার জন্যও একধরনের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

৭৩৫.৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা ২৭ লাখ ৫০ হাজার, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্ষম। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে এখনো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ