ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত, সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান! উত্তেজনা চরমে
দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে যেন মুহূর্তের মধ্যে এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে, এবং এই উত্তেজনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে কাশ্মীর—একটি ভূখণ্ড যা দীর্ঘকাল ধরে দুই দেশের জন্যই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, পাকিস্তান ভারতীয় একটি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার পর, সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাকিস্তান তাদের সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে, এবং এমনকি পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা এখন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সম্প্রতি বলেছেন, পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে “আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে বড় ধরনের সামরিক সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।” এই মন্তব্যের পরই সামরিক প্রস্তুতির তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তান এখন যে কোনো সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একই সময়ে, কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গুলিতে ভারতীয় একটি গোয়েন্দা ড্রোন ধ্বংস হয়ে যায়। পাকিস্তান দাবি করেছে, ড্রোনটি পাকিস্তানের আকাশে নজরদারি চালাচ্ছিল এবং তাকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এটি ভারতীয় পক্ষের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশঙ্কা করছেন যে, ভারত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ নিতে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক মহলেও এই উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন সার্বক্ষণিকভাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দুই দেশের সাথেই কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে, যাতে এই উত্তেজনা কোনোভাবে যুদ্ধের রূপ না নেয়।
পাকিস্তান সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে, আর ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত হয়েছে—দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন এক বিস্ফোরণ মুহূর্তের অপেক্ষায়। প্রশ্ন উঠছে—এটি কি শুধুই সামরিক কৌশল, নাকি আসলেই আরেকটি যুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে? কাশ্মীর ইস্যু কি আবার রক্তাক্ত সংঘাতে পরিণত হবে? এবং পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে—এটি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?