৭ দিনের মধ্যে মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার শুরু হবে

মাগুরায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আট বছরের এক শিশুর নির্মম ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় সমগ্র দেশ শোকাহত ও ক্ষুব্ধ। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ঘোষণা করেছেন যে, সাত দিনের মধ্যে এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

গত ৫ মার্চ, বুধবার, মাগুরায় আট বছরের এক শিশু তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়, যেখানে ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় শিশুটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, এই নৃশংস ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ষণ ও বলাৎকারের মামলাগুলো দ্রুত বিচার করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর অধ্যাদেশ জারির প্রচেষ্টা চলছে, যা আগামী রোববারের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যাতে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনগুলো প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তারা ধর্ষক ও নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করে নারী ও শিশুর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

মাগুরার এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় সমগ্র দেশ শোকাহত। সরকারের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ এবং আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।