জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমা দিয়ে জুলাই ঐক্য যে আল্টিমেটাম দিয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার ৫ জন আমলাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গণঅভ্যুত্থনের স্পিরিট ধারণকারী এই প্ল্যাটফর্মটি। তবে একইসঙ্গে সংগঠনটি ৪৪ জনের তালিকায় থাকা বাকি ৩৯ জন আমলার বিরুদ্ধেও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরকার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে, তবে স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
গত ৩ জুন ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচির সময় ৪৪ জন আমলার অপসারণ চেয়ে সরকারকে ১৯ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল জুলাই ঐক্য। সেই কর্মসূচির সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সঙ্গে বৈঠক হয় সংগঠনটির। এরপর ১৯ জুন সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন:
তবে সাতক্ষীরায় ২০১৩-১৫ সালে বুলডোজার অভিযানে জড়িত থাকা সাবেক ডিসি এবং বর্তমান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে যারা বাধ্যতামূলক অবসরে গেছেন, তাদের ও তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছে তারা।
এছাড়া সাবেক বিতর্কিত তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা—এ তথ্যও জানানো হয়েছে।
জুলাই ঐক্য জানিয়েছে, আগামী ৫ আগস্টের (৩৬ জুলাই) মধ্যে বাকি স্বৈরাচার-ঘনিষ্ঠ আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ঢাকার প্রবেশপথে ব্লকেডসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সংগঠনটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, প্রয়োজন হলে আবারও রাজপথে নামবে তারা।